প্রিয় বন্ধুরা
ভারতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপরে ব্যাংকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ব্যাংকিং ব্যবস্থা এই চ্যাপ্টার এর উপরে আমরা প্রতিযোগিতা পরীক্ষামূলক সমস্ত এক্সাম এ প্রশ্ন আসতে দেখে থাকি। তাই এই চ্যাপ্টার উপরে সম্পূর্ণ ডিটেইলস বিবরণ আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম যেখান থেকে আপনাদের আগত এক্সামে কোন অসুবিধা না হয়।
ভারতে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার ইতিহাস:
1770 সালে হিন্দুস্তান ব্যাঙ্ক স্থাপনের মাধ্যমে ভারতে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সূত্রপাত। তারপর তিনটি প্রেসেডেন্সি ব্যাঙ্ক স্থাপিত হয়— 1806-4 Bank of Calcutta, 1843-4 Bank of Madras ও 1840-এ Bank of Bombay৷ 1921-এ এই তিনটি ব্যাঙ্ক একত্রিত হয়ে Imperial Bank of India তৈরী হয়েছে যেটি 1956 পর্যন্ত চলে।
1925-4 Royal Commission of Indian Currency and Finance প্রতিষ্ঠা হয় হিলটন ইয়ং-এর সভাপতিত্বে। এই কমিশনের সুপারিশ অনুসারে 1934-এ ‘RBI Act' পাশ হয় ও এটি চালু হয় 1935-এর ১লা এপ্রিলে। প্রথমে RBI -এর সদর দপ্তর কলকাতাতে থাকলেও বর্তমানে এটি বম্বেতে।
RBI বার্মার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক হিসাবে কাজ করে 1944 পর্যন্ত, পাকিস্তানের 1948 ও কুয়েতের 1959 পর্যন্ত।
Imperial Bank of India 1956 FTC State Bank of India নাম পরিচিত হয়।
ব্যাঙ্কের জাতীয়করণ প্রথম শুরু হয় 1969-এ যখন 14টি ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ হয় এবং 1980-তে আরাে 6টি জাতীয়করণ হয়। আর্থিক ক্ষমতা ও সম্পদযাতে কিছু বেসরকারী সংস্থার কুক্ষিগত হয় তার জন্য ব্যাঙ্কের জাতীয়করণ করা হয়। গ্রাম স্তরে ব্যাঙ্ক পরিষেবা পৌছানাের ব্যবস্থাও করা হয়।
ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের পর ব্যাঙ্কের শাখা বৃদ্ধি, মুখ্যক্ষেত্রে (Priority sector) ঋণদান বৃদ্ধি, সঞ্চয় ও ঋণদান বৃদ্ধি, ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ছােট ঘােট প্রকল্পের বিকাশ, যেমন—জওহর রােজগার যােজনা ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়েছে।
✓ জাতীয়করণের কারণ :
1. আর্থিক ক্ষমতা কিছু ব্যক্তির নিকট কুক্ষিগত।
2. বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের বেসরকারী মালিকানা।
3. পূর্বে শহরাঞ্চলে অবস্থিত ছিল সেকারণে কৃষিপ্রধান এবং গ্রামাঞ্চলে বিকাশ উপেক্ষিত যেহেতু এটা অগ্রাধিকার ক্ষেত্র ছিল না।
✓জাতীয়করণের পরবর্তী পর্যায়ে অগ্রগতি ঃ
1. শাখার সংখ্যাবৃদ্ধি।
2. অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ঋণদান বৃদ্ধি।
3. আমানত সংগ্রহ বাড়ানাে।
4. বাণিজ্যিক বিকাশের জন্য ঋণদান প্রকল্পে সহায়তা শুরু করা।
• RBI : 1935-এ এটি প্রতিষ্ঠা হয় RBI আইন 1934-এর দ্বারা। দেশীয় আর্থিক ব্যবস্থার ও মুদ্রা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ এর প্রধান কাজ। এছাড়া বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয়, মুদ্রা ছাপাননা, সরকার ও অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে আর্থিক সাহায্য ইত্যাদি করে থাকে।
• হিল্টন ইয়ং কমিশনের সুপারিশে এটি স্থাপিত হয়। 1935-এর 1লা এপ্রিল এটি কাজ শুরু করে। প্রথম অধ্যক্ষ (govornor) স্যার অসবর্ণ স্মিথ (1935-37)।RBI জাতীয়করণ হয় 1949 সালে। এর পর ভারত সরকার এর মালিকানা গ্রহণ করে।
• RBI-এর প্রথম ভারতীয় অধ্যক্ষ সি. ডি. দেশমুখ (194349)
•RBI-পর প্রতীক হল বাঘ ও তাল গাছ RBI-এর সমস্ত কাজের পরিকল্পনা গৃহীত হয় কেন্দ্রীয় পরিচালক সভা (Central Board of Directors) দ্বারা। এর পরিচালকরা 4 বছরের জন্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হয়।
এই সভায় একজন অধ্যক্ষ, 4 জন সহ অধ্যক্ষ ও 15 জন পরিচালক থাকে।
• মনমােহন সিং একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি RBI-এর অধ্যক্ষ ছিলেন।
• বাজারের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে RBI-র ওপর।
• RBI-র সদর দপ্তর কলকাতা থেকে বম্বেতে স্থানান্তরিত হয় 1937-এ। এর 22টি আঞ্চলিক দপ্তর রয়েছে।
• ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাবনায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মৌলিক কার্যগুলি বর্ণনা করে এরূপে ঃ
•ব্যাঙ্কের কাগজের নােটের প্রচলন নিয়ন্ত্রণ করলে এবং ভারতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার রাখার জন্য গচ্ছিত অর্থ বজায় রাখা এবং দেশের কল্যাণের জন্য মুদ্রা ব্যবস্থা ও ঋণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পরিচালনা করা।
✓ RBI-এর কাজ:
(i) মুদ্রা ছাপানাে (Issuing of Notes) ঃ এক টাকা বা তার কম কাগজ নােট বা কয়েন বাদে বাকি সমস্ত কাগজ নােট ও কয়েন ছাপানাের দায়িত্ব পালন করে RBI। RBI সােনা ও বিদেশী মুদ্রাও সঞ্চয় করে যার মােট মূল্য 200 কোটি। এর মধ্যে অন্তত 15 কোটি সােনার মূল্য হওয়া চাই।
(ii) সরকারকে টাকা সরবরাহ (Banker of Government) ঃ সরকারকে প্রয়ােজনে ঋণ ও পরামর্শ দান করে RBI। সরকারি কোষাগারের নিয়ন্ত্রক এটি। RBI সরকারি ঋণপত্র (government securities) ক্রয় ও বিক্রয় করে। সরকারকে কম সময়ে বিনা সুদে ঋণ দিয়ে থাকে।
(iii) অন্য ব্যাঙ্ককে টাকা সরবরাহ (Bankers Bank) ও অন্য সমস্ত দেশীয় ব্যাঙ্ক RBI -এর কাছে কিছু টাকা গচ্ছিত রাখে প্রয়ােজনের সময় সাহায্য পেতে। 1949 -এর ব্যাঙ্কিং কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যঙ্কের মােট চাহিদা সঞ্চয়ের (demand deposits) 15% এবং সময় নির্ধারিত সঞ্চয়ের (time deposit) 2% RBI র কাছে জমা রাখতে হয়। 1962-র আইনে তা বাতিল করা হয়। বর্তমানে ব্যাঙ্ক। তার মােট সঞ্চয়ের 3% জমা রাখে।
✓ কোন ব্যাঙ্কের বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় :
ব্যাঙ্কের চহিদাভিত্তিক সঞ্চয় (Demand liabilities) ঃ এই অর্থ জনতা কর্তৃক সঞ্চিত এবং প্রয়ােজন বা ইচ্ছেমত ব্যক্তি সেই টাকা তুলতে পারে। তাই এটিকে চাহিদাভিত্তিক সঞ্চয় বলে। নির্দিষ্ট সময়ে অর্থের maturity বা পরিণতি প্রাপ্তির জন্য ব্যক্তিকে অপেক্ষা করতে হয় না। যেমন- টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার, মেল ট্রান্সফার, সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপােজিট, ডিমান্ড ড্রাক্ট ইত্যাদি।
• সময়ভিত্তিক সঞ্চয় (Time liabilities) ঃ ব্যক্তি তার সঞ্চিত অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাখলে তাকে সময়ভিত্তিক সঞ্চয় বলে। এই অর্থ সেই নির্দিষ্ট সময় শেষে পরিণতি প্রাপ্তির (maturity) পরই ব্যক্তি তা তুলতে পারে। যেমন—ফিক্সড় ডিপােসিট, রেকারিং ডিপােসিট ও গােল্ড ডিপােসিট।
• নগদ জমার অনুপাত (Cash Reserve Ratio) : নগদ জমার অনুপাতের শতকরা ভাগ এবং আইনসম্মত নগদ জমা (Statutory Liquidity Ratio) যাহা একটি ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ। করে তাহা প্রকৃতপক্ষে নীট চাহিদার এবং ঐ ব্যাঙ্কের Time Liability-র শতকরা ভাগ।
(iv) জরুরী অবস্থায় ব্যাঙ্ককে সাহায্য (Lender of last resort) ঃ প্রতিটি ব্যাঙ্ক জরুরী অবস্থায় RBI-এর কাছ থেকে টাকা ঋণ হিসাবে বা সাহায্য হিসাবে পেয়ে থাকে।
(v) বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয় (Custodian of foreign reserves): RBI বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয় হিসাবে কাজ করে। এছাড়া বিদেশী ও দেশী মুদ্রার মূল্যমানের মধ্যে পার্থক্যের মাত্রা (exchange rate) নির্ধারণ ও এই পার্থক্যের মাত্রা সুস্থিতকরণ (যেমন—টাকা ও ডলারের মূল্যের পার্থক্য যাতে বেশী ওঠানামা না করে) এবং বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বানিজ্যকে উৎসাহিত করে।
(vi) টাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ (Control of Credit) : বাজারে টাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এটি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে। বাজারে কঁচা টাকার পরিমাণ বেড়ে গেলে টাকার মূল্য কমে যায়। তখন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। একে বলে মুদ্রাস্ফীতি বা inflation। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে চাহিদা কমে, ফলে উৎপাদন কমে। এই ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণে বাজারে অর্থ প্রবাহ কমায়।
(vii) ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণকারী ও পর্যবেক্ষকের ভূমিকা ও RBI আইন ও ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে এই ভূমিকা RBI পালন করে থাকে। ব্যাঙ্ক কর্মসূচীর বিধি নিয়ম, দেশে ও বিদেশে নতুন শাখা সম্প্রসারণ, ব্যাঙ্ক কর্তৃক RBI তে গচ্ছিত টাকা ও অন্যান্য বস্তুর পরিমাণ নির্ধারণ ইত্যাদির মাধ্যমে দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাকে RBI নিয়ন্ত্রণ করে।
✓ বাজারে কাঁচা টাকার যােগান নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি:
(A) পরিমাণগত পদ্ধতি :
(i) Bank Rate: এই সুদের হারে RBI অন্যান্য কমাশিয়াল ব্যাঙ্কগুলিকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দান করে। 2018 রঅগাস্টের হিসাবে এই সুদের হার 6.75% যা রেপাে রেটের চেয়ে 25 বেসিস পয়েন্ট উপরে।
(ii) কাঁচা টাকার নিয়ন্ত্রণ (Liquidity adjustment facility):
(ক) কাঁচা টাকার নিয়ন্ত্রণে RBI নির্দিষ্ট সুদের হারে কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কগুলােকে টাকা ধার দেয়, সেই সুদের হারকে রেপাে রেট (Repo Rate) বলে। 2018-র হিসাবে রেপাে রেট 6.5%
(খ) অপর একটি ক্ষেত্রে যে সুদের হারে ব্যাঙ্কগুলি RBI -এর কাছে তাদের অতিরিক্ত (Surplus) অর্থ সঞ্চিত রাখে অথবা যে সুদের হারে RBI অন্য ব্যাঙ্কগুলি থেকে টাকা ঋণ নেয়, তাকে রিভার্স রেপাে রেট বলে (Reverse Repo Rate)। 2018-র হিসাবে এর হার 6.25%। ইহা রেপাে রেটের থেকে 0.25% কম হয়।
(গ) 2011 থেকে প্রচলিত হয়েছে মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলিটি (Marginal standing facility)। এর দ্বারাও সমস্ত কমার্সিয়াল ব্যাঙ্কগুলাে একটি নির্দিষ্ট সুদের হারে RBI-এর থেকে মােট সঞ্চিত অর্থের 2% ঋণ পেয়ে থাকে। এই সুদের হারকে MSF বলে। এটি রােগপার থেকে 0.25% বেশী, অর্থাৎ 2018-র এটির হার 6.75%। সমস্ত তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে RBI-তে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। MSF-এর মাধ্যমে যে ন্যূনতম অর্থ ঋণ পাওয়া যাবে তা হল—1 কোটি এবং 1 কোটির গুণিতক আকারে।
(iii) খােলা বাজার পদ্ধতি (Open market operation) ঃ এর দ্বারা RBI সরকারি ঋণপত্র (government securities) খােলা বাজারে ক্রয় ও বিক্রয় করে। যখন মানপত্র বিক্রয় করে, তখন বাজার থেকে বেশ কিছু কাচা টাকা উঠিয়ে নিয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে।
(iv) টাকা সঞ্চয়ের অনুপাত (Cash Reserve Ratio) ঃ প্রতিটি ব্যাঙ্কের জমা ডিমান্ড ও টাইম ডিপােসিট মিলিয়ে মােট টাকার 3-15% RBI-এর কাছে টাকা জমা রাখতে হয়। একেই বলে CRR যার পরিমাণ এপ্রিল, 2018 অনুসারে 4%।
(v) টাকা ও অন্যান্য সঞ্চয়ের অনুপাত (Statutory liquidity ratio) ঃ এর হারে ব্যাঙ্কগুলি তার মােট সঞ্চয়ের 15-80% টাকা, সােনা বা মানপত্রের (Securities) দ্বারা সঞ্চিত রাখে। 2017-র হিসাবে SLR -এর হার 20.75%।
উপরােক্ত সবকটি সুদের হারের মাধ্যমে RBI প্রতিটি ব্যঙ্ক থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে তাদের সঞ্চিত অর্থ নিজের কাছে জমা রাখে। এর ফলে বাজারে কাঁচা টাকার পরিমাণ কমে ও মুদ্রাস্ফীতিও কমে।
1. মার্জিন প্রয়ােজনীয়তা (Margin Requirements) ঃ ইহা নির্দেশ করে একটি আনুষাঙ্গিক জামিনের অর্থ যেটা ঋণ গ্রহণকর্তাকে কোন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখতে হয়। ইহা ঋণ করার জন্য প্রদেয় জামিনের মূল্য এবং মঞ্জুরীকৃত লােনের পরিমাণের পার্থক্যকে বােঝায়। টাকার যােগান কমানাের জন্য, RBI মার্জিন প্রয়ােজনীয়তা বৃদ্ধি করে এবং বিপরীতক্রমে।
2. ক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ (Rationing of Credit) : এটি RBI নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক কর্তৃক মঞ্জুরীর সীমাকে বােঝায়।
3. নৈতিক প্রণােদন (Moral Suasion) : RBI এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে নির্দেশ বা উপদেশের মাধমে এর কার্যনীতিকে মেনে চলতে পরামর্শ দেয় এবং যাতে অর্থনীতি ব্যবস্থার একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় অর্থের যােগান বজায় রাখতে পারে।
4. ক্রেতা ঋণ নিয়ন্ত্রণ (Consumer Credit Regulation) ঃ RBI, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে মৌখিক বা লিখিত নির্দেশাবলী দেয় ভােগ্য দ্রব্য ক্রয় করার জন্য ডাউন পেমেন্ট এবং সর্বাধিক কিস্তি ঋণ মেয়াদপূর্তির ক্ষেত্রে।
✓ আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটি :
• RBI অ্যাক্ট 1934 সংশােধিত হয়েছেফাইনান্স অ্যাক্ট 2016 কর্ক। যাতেমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একটি আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটি যেটা বিধিসম্মত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাে। প্রদান করার জন্য গঠিত হয়েছে, যারা বিকাশের লক্ষ্য মনােনিবেশ করে।
• আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটিকে রেপাে রেট নির্দিষ্ট করার জন্য নিয়ােগ করা হয়েছে।
• রেপাে রেট স্থিরীকৃত লক্ষ্যমাত্রা স্তরে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য।
•মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখিত আছেবিশেষ গেজেট অফ ইন্ডিয়া (এক্সটাঅর্ডিনারী) তাং 5ই আগষ্ট, 2016 খ্রীষ্টাব্দ। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন হইতে 31শে মার্চ পর্যন্ত হল 4% ঊর্ধ্বসীমা এবং 2% নিম্নসীমা।
• RBI অ্যাক্ট-এর বিধান অনুসারে, আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটির 6 সদস্যের মধ্য থেকে RBI মনােনীত এবং MPC-এর অন্য 3সদস্যকে কেন্দ্র সরকার নিয়ােগ করবেন।
• RBI-এর গভর্নর হবেন এক্স-অফিসিও চেয়ারপার্সন।
• আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা, 4 বৎসরের জন্য এই অফিসে তাৎক্ষণিক প্রভাবের সহিত পদাধিকারবলে কাজ করবেন পুনরায় আদেশ না দেওয়া অবধি।

No comments:
Post a Comment