Breaking







Wednesday 2 June 2021

ভারতের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার উপর বিস্তারিত আলোচনা।Detailed discussion on India's Five Year Plan.

 


প্রিয় বন্ধুরা

আজকে আমরা আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি ভারতের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সমস্ত ডিটেইলস বিবরণ। এই চ্যাপ্টার থেকে আমরা আমাদের এক্সাম এ প্রতিনিয়ত প্রশ্ন দেখতে পাই। তাই এই চ্যাপ্টার  থেকে যতগুলো ইম্পর্টেন্স পয়েন্ট আছে সেগুলি আপনাদেের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব যাতে আপনাদের কোন পয়েন্ট মিস না যায়়়।


✓ ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ইতিহাস:

        দেশীয় সম্পদকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে ও সেই ব্যবহারের কী কী উপযােগিতা পাওয়া যাবে, তার পরিকল্পনা গ্রহণ করে পরিকল্পনা কমিশন বা Planning Commission। অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে-এর ভূমিকা বিরাট। পরিকল্পনার কথা প্রথম বলেন M. Visvesvarayya তার 1934-এ প্রকাশিত বই “Planned Economy for India”-য়। 1938-এ প্রথম জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণের চেষ্টা করা হয়। সেই বছর কংগ্রেস সভাপতি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বােস জাতীয় পরিকল্পনা কমিটি বা National Planning Committee গঠন করেন যার সভাপতি ছিলেন জওহরলাল নেহেরু।


• পরিকল্পনার উদ্দেশ্য— এর উদ্দেশ্য হল দেশীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধি এমনভাবে করা যাতে আয়ের মধ্যে বৈষম্য কমে, যথেষ্ট পরিমাণে কর্মক্ষেত্র বা কর্মনিয়ােগ করা যায় ও জনগণের জীবনযাত্রার মান সামগ্রিকভাবে উন্নত করা যায়। দুরকম পরিকল্পনা হয়— স্বল্প সময়ের (Short term) পরিকল্পনা—যেগুলি আকস্মিক সমস্যা সমাধানে গৃহীত হয় এবং দীর্ঘ সময়ের (Long term) পরিকল্পনা—যেগুলি দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে গৃহীত হয়।

• পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ঃ 

(1) আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়ানাে ও জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন।

(2) আর্থিক স্ব-নির্ভরতা ও আধুনিকীকরণ।

(3) সামাজিক ন্যায়। 

(4) আর্থিক স্থিতিশীলতা।


✓ ভারতের পরিকল্পনাগত কৌশল:

1. হ্যারড-ডােমার কৌশল প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এই কৌশলের উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। ইহা মূলধন কুক্ষিগতকরণের দ্বৈত চরিত্রের উপর জোর দিয়েছিল।

(a) এটা জাতীয় আয়কে বৃদ্ধি করবে। (চাহিদার উপর)।

(b) এটা উৎপাদন ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটাবে। (সরবরাহের উপর)। এখন কি হারে নীট বিনিয়ােগ বৃদ্ধি পাবে যাহাতে চাহিদা যােগানের ভারসাম্য থাকে ইহা পরিকল্পনাকারীদের নির্ণয়ের উপর নির্ভর করে। লক্ষ্য হবে পরিশেষে পুনরায় কর্মসংস্থানের সাম্যাবস্থা অর্জিত হওয়া।

2. নেহেরু মহালানবিশ কৌশল (Nehru Mahalanobis Model) ঃ দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির জন্য এই কৌশলে ভারী শিল্পের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই কৌশল দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গৃহীত হয়।

এতে দেশীয় অর্থনীতির স্বনির্ভরতার কথাও বলা হয়েছে।

3 গান্ধী কৌশল (Gandhian Model) ঃ এইটি শুরু হয় আচার্য শ্রীমান নারায়ণ আগরওয়াল-এর সময় ১৯৪৪ সালে। এই কৌশলে মৌলিক (basic) উন্নত জীবনযাত্রার মান জনগণের প্রত্যেক অংশের মধ্যে পৌছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে কৃষির বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি, গ্রামীন ও কুটির শিল্পকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছ। এই কৌশলে কর্মসংস্থানের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।

4. উদারিকরণ, বেসরকারীকরণ ও বিশ্বায়ন (Liberalisation, Privatisation and Globalisation) : 43 তত্ত্বের প্রবক্তা পি.ভি. নরসীমা রাও ও মনমােহন সিং। এর দ্বারা লাইসেন্স ব্যবস্থার উদারিকরণ করে বেসরকারি সংস্থাকে ও বিদেশেী সংস্থাকে এদেশে বিনিয়েগে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। দেশীয় অর্থনীতিকে এর দ্বারা বিকেন্দ্রীভূত করা হয়।

5. গ্রামস্তরে শহুরে সুযােগ সুবিধা প্রদান (ProvidingUrban Amenities in Rural Areas or PURA Strategy) ঃ এর প্রবক্তা এ. পি. জে. আব্দুল কালাম। গ্রাম স্তরে চার প্রকার যােগাযােগ ব্যবস্থা প্রদানের কথা এতে বলা হয়েছে

(i) ভৌতিক যােগাযােগ বা Physical Connectivity রাস্তা, রেল, সেতু ইত্যাদি

(ii) বিদ্যুৎ সংযােগ বা Electrical connectivity,

iii) শিক্ষাসংযােগ বা knowledge Connectivity এবং iv) আর্থিক সংযােগ বা Economic Connectivity। PURA-কে নতুন গান্ধীয়ান কৌশল বলা হয়। এই কৌশলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ সমাজে গ্রামের জনতার সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা

• PURA 2.0-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে কিছু শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে

• যাদের জনসংখ্যা 5000, 

• জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে 400 জন।

• অন্তত 75% পুরুষ কর্মী কৃষিকাজে যুক্ত।


✍️ প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:

(১) এর সময়কাল ছিল এপ্রিল 1,1951—মার্চ 31,1956

(২) এটি পরিকল্পিত হয়েছিল হ্যারড-ডােমার মডেল-এর ওপর ভিত্তি করে।

(৩) 1952 সালে এই পরিকল্পনার অধীনে পরিকল্পিত সমষ্টি উন্নয়ন কর্মসূচির সূত্রপাত ঘটেছিল।

(৪) শেষ 2 বছরে কৃষিক্ষেত্রে খুব ভালাে উৎপাদনের জন্য এই পরিকল্পনা নির্ধারিত লক্ষ্যপূরণে সাফল্য লাভ করে।


✍️ দ্বিতীয়পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:

(১)এর সময়কাল ছিল এপ্রিল 1,1956—মার্চ 31,1961

(২) ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর, প্রফেসর পি সি মহলানবিশের মডেলের ওপর ভিত্তি করে 1956 সালের 1 এপ্রিল দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সূত্রপাত ঘটে। মহলানবিশ পরিকল্পনা’ 1928 সালে সােভিয়েত রাশিয়ায় পরিকল্পিত ও গৃহীত হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে ফেল্ডম্যান এর মডেল অনুসরণে এটি রূপায়িত হয়।

(৩) অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব অর্জনের লক্ষ্যে এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিল দ্রুত শিল্পায়ন’ (rapid industrialisation)। শিল্পক্ষেত্রগুলির মধ্যে মূলধন-নিবিড় (capital intensive), মৌলিক ও ভারী শিল্প (basic & heavy industries) বিশেষত লৌহ ও ইস্পাত শিল্প, রাসায়নিক শিল্প যেমন নাইট্রোজেনঘটিত সার  অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছিল।

(৪) এই ও পরিকল্পনার প্রাক্কালে জাতীয় শিল্পনীতি (1956) ঘােষিত হয়েছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিল সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজ প্রতিষ্ঠা করা (establishment of socialistic pattern of society)।


✍️ তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:

(১) এর সময়কাল ছিল এপ্রিল 1.1961—মার্চ 31,1966 

(২) তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রাক্কালে ভারতীয় অর্থনীতির । নীতি-নির্ধারকরা অনুধাবন করেন যে দেশের অর্থনীতি অগ্রগতির পথে প্রবেশ করেছে। তাই, পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। হওয়া উচিত স্বনির্ভর ও স্বতঃ-উৎপাদনশীল অর্থনীতিরূপে দেশের আত্মপ্রকাশ ঘটানাে।

(৩) কৃষিক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার প্রদান করার সাথে সাথে মৌলিক শিল্পের বিস্তারের ওপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়।

(৪) জাতীয় আয় 30% এবং মাথাপিছু আয় 17% বাড়ানাের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়।

(৫) চৈনিক আগ্রাসন (1962), ভারত-পাক যুদ্ধ (1965) এবং 1965-66 সালের ব্যাপক খরা তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ব্যর্থতার পটভূমি রচনা করে।


✍️ তিনটি বার্ষিক পরিকল্পনা [1966-67 থেকে 1968-69]: 

(১) এই 3 বছর ভারতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ইতিহাসে প্ল্যান হলিডে' নামে পরিচিত। 

(২) তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়ে প্রবল খাদ্যাভাব এবং কৃষি সংকট 3টি বার্ষিক পরিকল্পনায় কৃষিক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার প্রদানে বাধ্য করেছিল৷ 

(৩) এই 3টি বার্ষিক পরিকল্পনার সময় ভারতীয় কৃষিনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা হয়| কৃষিজ উৎপাদনবৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সময়েই উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার, অত্যধিক হারে সার প্রয়ােগ, সেচ-এর ব্যবহার ও বিস্তার এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গৃহীত হয়। 

(৪) ভারতীয় অর্থনীতি তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময় যে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল, এই 3টি বার্ষিক পরিকল্পনার সময় সেই সংকট থেকে ভারতীয় অর্থনীতির উত্তরণ ঘটে এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পুনঃপ্রবর্তনের অনুকূল প্রেক্ষাপট রচিত হয়।


✍️ চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:

(১) এর সময়কাল ছিল এপ্রিল 1,1969—মার্চ 31,1974 

(২) চতুর্থ পরিকল্পনার প্রধান 2টি লক্ষ্য ছিল উন্নতির সাথে স্থিতিশীলতা অর্জন এবং আত্মনির্ভরশীলতার পথে অগ্রগতি।

(৩) এই পরিকল্পনাকালে, কৃষিক্ষেত্রে প্রথম 2 বছর রেকর্ড উৎপাদন হলেও, শেষ 3 বছরে খারাপ বর্যার জন্য উৎপাদনের নিরিখে কৃষিক্ষেত্র চরম ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়।

(৪) 1971 সালের ভারত-পাক যুদ্ধের পটভূমিতে প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশি শরণার্থী ভারতে স্থায়ী আশ্রয়গ্রহণে বাধ্য হয়। 1973 সালে তীব্র তৈল সংকটের ফলে মুদ্রাস্ফীতির হার বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে তার ঋণাত্মক প্রভাব পড়ে।


✍️ পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:

(১) এর সময়কাল ছিল এপ্রিল 1,1974—মার্চ 31,1979

(২) এই পরিকল্পনার প্রধান 2টি লক্ষ্য ছিল—দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং স্বনির্ভরশীলতা অর্জন। এছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপরও গুরুত্ব প্রদান করা হয়।

(৩) এই পরিকল্পনাকালে ন্যাশনাল প্রােগ্রাম অব মিনিমাম নিড’-এর সূত্রপাত ঘটে। এর মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা, পানীয় জল, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিসেবার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি, সড়ক যােগাযােগ ও পরিবহণ উন্নয়ন, ভূমিহীন কৃষকদের ভূমির মালিকানা প্রদান, বৈদ্যুতিকরণ এবং অপুষ্টি দূরীকরণের প্রয়াস গৃহীত হয়।

(৪) যদিও এই পরিকল্পনার অন্তঃসীমা ছিল 1979 সাল, কিন্তু 1978 সালে জনতা সরকার ক্ষমতায় আসায় 1978 সালেই এই পরিকল্পনার সমাপ্তি ঘটে।


✍️ প্রথম ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা

(১) এর সময়কাল ছিল এপ্রিল 1, 1978-মার্চ 31,1983 (প্রস্তাবিত)

(২) জনতা- সরকারের আমলে এই পরিকল্পনাটি (প্রস্তাবিত সময়কাল 1978-83) গৃহীত হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর ছিল প্রথম 2বছর (1978-80)।

(৩) এই পরিকল্পনার অপর নাম বহতা পরিকল্পনা’ বা ‘রােলিং প্ল্যান।

(৪) এই পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি ছিল কৃষি ও তার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, কুটিরশিল্পের মাধ্যমে ভােগ্যপণ্য উৎপাদনকে উৎসাহদান, ন্যূনতম প্রয়ােজন প্রকল্প (Minimum Needs Programme)-এর মাধ্যমে সমাজের দরিদ্রতম অংশের গড় আয় বৃদ্ধি।


✍️ দ্বিতীয় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:

এই পরিকল্পনার সময়কাল ছিল এপ্রিল 1,1980–মার্চ 31, 1985। 1980 সালে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগের সরকারের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাটি বাতিল হয়ে যায়। এবং একটি নতুন ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চালু হয়। এই পরিকল্পনার 5 প্রধান উদ্দেশ্যগুলি ছিল—জাতীয় আয় বৃদ্ধি, উৎপাদনে উৎকর্ষলাভের নীতি গ্রহণ এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যার দূরীকরণ নিশ্চিতকরণ, জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনার রূপায়ণ এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন।


✍️ সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:

(১)এর সময়কাল ছিল এপ্রিল 1, 1985—মার্চ 31,1990

(২) প্রধান উদ্দেশ্যগুলি ছিল—খাদ্যশস্য উৎপাদন দ্রুত হারে বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অর্থাৎ উন্নয়ন, আধুনিকীকরণ, স্বনির্ভরশীলতা ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।

(৩) এই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ছিল ভারতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ইতিহাসে সাফল্যের নিরিখে উজ্জ্বলতম পরিকল্পনা। আর্থিক উন্নয়নের প্রস্তাবিত হার ছিল 5% এবং অর্জিত উন্নয়নের হার ছিল 6%।


✍️ অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:

(১) এর সময়কাল ছিল এপ্রিল 1, 1992—মার্চ 31, 1997

(২) রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই পরিকল্পনা গ্রহণ ও রূপায়ণের কাজ 2 বছর পিছিয়ে যায়। 1990-91 সালে ভারতীয় অর্থনীতি চূড়ান্ত মুদ্রাস্ফীতি সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং ব্যালেন্স অব পেমেন্ট’-এর অবস্থা অত্যন্ত শােচনীয় হয়। এই প্রেক্ষাপটে এই পঞবার্ষিকী পরিকল্পনা গৃহীত হয়। (৩) এই পরিকল্পনায় গড় আর্থিক উন্নয়নের প্রস্তাবিত হার (বার্ষিক) ছিল 5.6% এবং অর্জিত হার ছিল 6.৪%।


✍️ নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:

এই পরিকল্পনার সময়কাল ছিল এপ্রিল 1, 1997—মার্চ 31, 2002। এই পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের 4টি প্রধান মাত্রা ছিল— জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন, উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান, আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং স্বনির্ভরতা অর্জন।

3 comments:

  1. Onek dhonyobad.. kintu Baki porikolpoba gulo Kobe post korbn sir.

    ReplyDelete
    Replies
    1. Khub e taratari Post share kore debo Apnader jonne🙂

      Delete
  2. Well done sir khub help pelam .Thank you very much sir and congrats your kindness.

    ReplyDelete







Twt
D1 Study Subscribe our Youtube Channel
Subscrib