প্রিয় বন্ধুরা
আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় জাতীয় নেতাদের কথা। এই চ্যাপ্টার এর উপর থেকে আমরা পরীক্ষা তে প্রশ্ন আসতে দেখি, তাই আমরা এই চ্যাপ্টারের সমস্ত ডিটেইলস আপনাদের কাছে রাখার চেষ্টা করলাম আশা করছি আপনাদের আর কোনো পয়েন্ট মিস যাবেনা ।
✓দাদাভাই নৌরুজি (1825-1917):
• ইনি একজন রাজনীতিবিদ, যিনি প্রথম “স্বরাজ” দাবি করেন আই. এন. সি. প্ল্যাটফর্ম থেকে (কোলকাতা অধিবেশন, 1906)।
•তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ “পভার্টি অ্যান্ড আন ব্রিটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া” (Poverty and Unbritish Rule in India)-তে তিনি ব্রিটিশদের দ্বারা ভারতের সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যাওয়া এবং ভারতে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষের মধ্যে যােগসূত্র বার করেছেন।
•তাকে “ইন্ডিয়ান গ্লাডস্টোন” এবং “গ্রান্ড ওল্ডম্যান অফ ইন্ডিয়া” পদবীতে ভূষিত করা হয়েছে।
•“হাউস অফ কমন অন আ লিবারেল পার্টির টিকিটে তাকে নির্বাচন করা হয়েছিল।
✓অ্যানি বেসান্ত (1847-1933):
• তিনি প্রথম “থিওসােফিক্যাল সােসাইটি ইন ইন্ডিয়া” উদ্বোধন করেন এবং হােম রুল লিগ শুরু করেছিলেন।
• তিনি প্রথম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কেন্দ্রীয় হিন্দু স্কুল’ এবং ‘কলেজ অফ বেনারস’ (পরে ইহা বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত হয়।
•তিনিই প্রথম ১৯১৭ সালের আই. এন. সি.-এর কোলকাতা অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
•তিনি 1920 সালের নাগপুর অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেননি, কারণ গান্ধীজীর সাথে তার দূরত্ব তৈরি হওয়ায়। তার মনে হয়েছিল “গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট” করা হয়েছে ভারতকে মুক্ত করার জন্য।
• তিনি নিউ ইন্ডিয়া’ এবং কমনওয়েথ’ সংবাদ পত্রের সম্পাদনা করেছিলেন।
• তিনি তৈরি করেছেন “দি ললাটাস সং” এবং “গীতা’-কে। ইংরাজীতে অনুবাদ করেছেন।
✓বাল গঙ্গাধর তিলক (1857-1920):
• এনাকে “লােকমান্য” উপাধি দেওয়া হয়েছিল।
• আগারকারদের সহযােগীতায় তিনি একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন যেখানে তিনি জনগণকে সস্তায় শিক্ষা দিতে পারবেন।
• তিনি প্রথম জাতীয় নেতা ছিলেন যিনি সাধারণ মানুষের। সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিলেন।
• তিনি আখারা, লাঠি ক্লাব এবং গােহত্যা বিরােধী সােসাইটি শুরু করেছিলেন যাতে তিনি জনগণের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন।
• তিনি দুটি সংবাদপত্র শুরু করেন ‘দি মারহাট্টা’ (The Mahratta) ইংরাজীতে এবং ‘কেশরী’ মারাঠীতে।
• প্রথম কংগ্রেস নেতা ছিলেন যিনি অসংখ্য বার জেলে গেছেন। তিনি INC-তে যােগ দেন 1891 সালে।
• তিনি কংগ্রেস চরমপন্থীর “লাল-বাল-পাল”-র গােষ্ঠীর লােক ছিলেন এবং 1907 সালে সুরাট অধিবেশনে কংগ্রেসের ভাঙ্গন ধরে।
• তিনি 1916 সালে হােম রুল লীগের উপস্থাপনা করেন। এবং লক্ষৌ সন্ধি এবং রিফর্ম অ্যাক্ট অমৃতসর কংগ্রেসে 1919 সালে উপস্থাপক হতে সাহায্য করেন।
•ভ্যালেন্টাইন সিরল ওনাকে বর্ণনা করেছেন “ফাদার অফ ইন্ডিয়ান আনরেস্ট” বলে।
• 1920 সালে নাগপুর অধিবেশনে আই. এন. সি. “স্বরাজ”-এর দাবী করেন (তিলকের স্লোগানের পর)।
• তাঁর রচিত বই “দি আরটিক হােম ইন দা বেদাস” এবং “গীতা রহস্য”।
√বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (1833-1894):
• বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার গোঁড়া বাঙালী ব্রাহ্মণ পরিবারে।
• আগেকার রীতি অনুযায়ী ১১ বছর বয়সে উনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
• বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছিলেন।
• ওনার বাবার মতাে, বঙ্কিমচন্দ্র যশােরের ডেপুটি কালেক্টর। হিসাবে নিয়ােগ হয়েছিলেন। তারপর তিনি “ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট”-এর পদে পদোন্নতি হয়েছিল। 1891 সালে তিনি সরকারী চাকুরি থেকে অবসন নেন।
. তার নিকটতম প্রকাশন সংবাদ প্রভাকর” সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হিসাবে প্রকাশিত হত।
• দুর্গেশনন্দিনী (1865) এবং কপালকুণ্ডলা (1866) হল তাঁর মুখ্য প্রকাশন। তার এই দুই উপন্যাস সবাইয়ের কাছে গৃহীত এবং অন্যান্য ভাষায় এর অনুবাদ হয়েছে।
• ‘বঙ্গদর্শন’ হচ্ছে মাসিক সাহিত্য পত্রিকা যেটা শুরু হয় 1972 সালে বঙ্কিমচন্দ্রের দ্বারা। এই পত্রিকায় ছিল গল্প, হাস্যকৌতুক, ছবি, ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক প্রবন্ধ।
. উনি উপন্যাস লিখতেই থাকেন এবং তাঁর লেখার দরুন খ্যাতি অর্জন করেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস হল “চন্দ্রশেখর” এবং “রজনী” (1877 সালে)।
• বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর উপন্যাস “আনন্দমঠ”প্রকাশিত করেছিলেন 1882 সালে যেখানে “বন্দেমাতরম” গানটা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটা একটি রাজনৈতিক উপন্যাস যেখানে এক সন্ন্যাসী সেনা বিদেশী সৈন্যদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন। “বন্দেমাতরম”-এর সুরটা পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন।
• অনেক সমালােচকরা বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলা সাহিত্যের সেরা লেখক হিসাবে চিহ্নিত করেন এবং তারা দাবী করেছিলেন। যে তাঁর উপন্যাসকে বােঝার জন্য আগে তাকে বােঝা উচিত।
• বঙ্কিমচন্দ্র ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এবং গভর্নমেন্টের বিরুদ্ধে তার লেখা এবং প্রকাশনার মধ্যে দিয়ে সমালােচনা করতেন।
• “বিষবৃক্ষ” (দি পােয়স ট্রি) 1873 সালে প্রকাশিত হয়েছিল। টাইমসের পত্রিকায় লন্ডনের উপরে ভিত্তি করে “হ্যাব ইউ রেড দিপয়সেন ট্রি অফ বঙ্কিমচন্দ্র চ্যাটার্জী”। • 1894 সালের ৫ই এপ্রিল উনি মারা যান।
✓বিপিনচন্দ্র পাল(1858-1932):
• বিপিনচন্দ্র পাল ছিলেন জাতীয় রাজনীতিবিদ, সুপ্রতিষ্ঠিত বক্তা এবং লেখক। 1858 সালের ৩ই নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলায় এক ছােটো গ্রাম পয়েলে (সিলেট এখন যেটা বাংলাদেশে অবস্থিত) এক ধনী কায়স্থ হিন্দু পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
• তিনি দল নেতাদের গােষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন যেখানে লালা লাজপত রায়, বাল গঙ্গাধর তিলক এবং অরবিন্দ ঘােষ যৌথভাবে যুক্ত ছিলেন এবং তারা সামরিক জাতীয়তাবাদী' বা “মিলিটেন্ট ন্যাশনালিস্ট” নামে পরিচিত ছিলেন। এরা প্রারম্ভিক স্বাধীনতা আন্দোলনে আসন্ন জাতীয়তাবাদকে চিহ্নিত করেছেন।
• বাড়ির অমতে উনি নৃত্যকলি দেবী যিনি বিধবা ছিলেন তাকে বিবাহ করে।
•অরবিন্দ ঘােষ তাকে “মাইটিয়েস্ট প্রফেট অফ ন্যাশনালিসম” আখ্যা দিয়েছিলেন।
• ইনি সমর্থন করেছিলেন “এজি অফ কনসেন্ট বিল” (1891), স্বদেশী আন্দোলন এবং আসামের চা বাগানের শ্রমিকদের জন্যেও আন্দোলন করেছিলেন।
• ইনি পরিদর্শক (সাপ্তাহিক), পাবলিক ওপিনিয়ান এবং ট্রিবিউন (সম্পাদক), স্বরাজ (সাপ্তাহিক ইংরাজী পত্রিকা লন্ডনের), হিন্দু রিভিউ (মাসিক পত্রিকা ইংরাজীতে), ইনডিপেনডেন্ট (দৈনিক) এবং ডেমােক্রেটিক।
✓রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (1861-1941)
• দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ব্রাহ্ম সমাজের মূল নেতা ছিলেন। 19 শতাব্দীর নতুন ধার্মিক ক্ষেত্র ছিল যেটা প্রয়াস করেছিল হিন্দুদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের পুনর্জাগরণ যেটা উপনিষদে বলা আছে।
• তাঁর শিক্ষা বাড়িতেই হয়েছিল। যদিও তার 17 বছর বয়সে তাকে ইংল্যান্ডে পাঠানাে হয়েছিল তার পড়াশুনাকে শেষ করার জন্য কিন্তু তিনি তার পড়াশুনা সেখানে শেষ করেননি।
• তাঁর পরবর্তী বয়েসে তাঁর সাহিত্য চর্চা ছাড়াও তিনি বিভিন্ন পারিবারিক কাজকর্মের সাথে যুক্ত ছিলেন। একটা প্রকল্প যেটা তাকে সাধারণ মানুষদের কাছে নিয়ে যায় এবং তার সামাজিক সংস্কারের দিকে তার আগ্রহ জাগে।
• তিনি ছিলেন কবি, দার্শনিক, শিক্ষাব্রতী, আন্তর্জাতিকতাবাদী এবং দেশভক্ত।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অগ্রজ ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি আই. সি. এস. (ICS) হয়েছিলেন।
• তার প্রথম কবিতা প্রকাশ হয়েছিল অমৃতবাজার পত্রিকায়। তিনি তার পর ‘বনফুল’ গল্প এবং ভানুসিংহের পদাবলী (গান) লিখেছিলেন।
• 22 ডিসেম্বর, 1901 সালে তিনি বােলপুরের কাছে। শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠা করেন।
• তিনি গীতাঞ্জলী লিখেছিলেন যার জন্য তাকে 1913 সালে নােবল পুরষ্কার সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল।
• তিনি রাখী বন্ধনের উদ্বোধন করেছিলেন 1905 সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের বিরােধিতা করে।
• তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
• 1915 সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে “নাইট” উপাধিতে ভূষিত করেন। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর তিনি এই নাইট উপাধি ফিরিয়ে দেন।
• দুটি দেশ তাঁর রচিত গানকে নিজেদের জাতীয় সংগীত হিসাবে বেছে নিয়েছে। সেগুলি হচ্ছে।
1. ভারত জন গণ মন।
2. বাংলাদেশ আমার সােনার বাংলা।
✓লালা লাজপত রায় (1865-1928)
•লালা লাজপত রায় ছিলেন খুব সাহসী লােক তাই তাকে “লায়ন অফ পাঞ্জাব” বলা হত (শের-এ-পাঞ্জাব)।
• মহাত্মা হংস রাজের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আর্য সমাজের সদস্য হয়ে “ডাভ কলেজ”-এর প্রতিষ্ঠার জন্য সাহায্য করেছিলেন।
• তিনি তার নাম প্রত্যাহার করেন প্রেসিডেন্সি লিস্ট থেকে আই. এন. সি. সুরাট অধিবেশন থেকে। 1920 সালে কলকাতার কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে তিনি সভাপতি ছিলেন।
• তিনি 1922 সালে অসহযােগ আন্দোলন প্রত্যাহার করার বিরােধিতা করেন। তিনি মতিলাল নেহেরু এবং সি, আর. দাসের সাথে যৌথভাবে স্বরাজ্য পার্টির প্রতিষ্ঠা করেন।
•9988 সালে সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে বিরােধিতা । প্রদর্শন করতে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন।
•তিনিবন্দেমাতরম্' এবং ‘দি পাঞ্জাব এন্ড দ্য পিউপিল পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
✓গােপাল কৃষ্ণ গােখেল (1866-1915)
• গান্ধীজী তাকে রাজনীতির গুরু হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন।
• 1905 সালে তিনি বেনারস অধিবেশনে আই. এন. সি.-র সভাপতি ছিলেন এবং তিনি স্বদেশী আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন।
• তিনি “সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়ান সােসাইটি”-র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন 1905 সালে। তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। মানুষদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার, যারা জাতীয় মিশনারী হয়ে কাজ করবেন।
• জার্নাল “সুধারক”-এর সম্পাদক ছিলেন।
✓মহাত্মা গান্ধী (1869-1948)
• মােহন দাস করমাদ গান্ধী জন্মগ্রহণ করেছিলেন 2রা অক্টোবর, 1869 সালে গুজরাতের পােরবন্দর গ্রামে।
• তাঁর পিতার নাম ছিল করমচাঁদ গান্ধী এবং মাতার নাম পুতলী বাই।
•গােপাল কৃষ্ণ গােখেলে ছিল তাঁর রাজনৈতিক গুরু।
• ব্যক্তিগত সচিব—মহাদেব দেশাই (1942 সালে মারা যান) (ইনি “গান্ধীস্ বােসওয়েল, আ প্লেটো টু গান্ধী সকরেটস” এবং আনন্দ টু গান্ধী বুদ্ধা) নামেও বিখ্যাত ছিলেন।
• ইনি ইংল্যান্ডে আইন পড়েছিলেন 1888-1891 অবধি এবং তার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।
• 1893 সালে তিনি সাউথ আফ্রিকা যান এবং এক ল ফার্মে কাজ করেন।
• সাউথ আফ্রিকায় 1893-1914 :
• ৭ই জুন, 1893 সালে গান্ধীজীকে পিটারমারিটাবাগ স্টেশনে ট্রেনের প্রথম সারির কামরা থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
• 1894 সালে নাটাল ভারতীয় কংগ্রেস এর প্রতিষ্ঠা করেন।
• বােয়ার যুদ্ধের সময় 1899 সালে তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাম্বুলেন্স কর্পস্-এর প্রতিষ্ঠা করেন।
• 1906 সালে ট্রান্সভালে এশিয়াটিক অর্ডিনেন্সের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন।
• ট্রান্সলে 1907 সালে তিনি সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেন। কম্পালসারি রেজিস্টেশন এন্ড পার্সেস ফর এশিয়ানস (দি ব্ল্যাক এক্ট)-এর বিরুদ্ধে।
• 1908 সালে ওনার প্রথম জেল হয়।
•1910 সালে ইনি “টলস্টয় ফার্ম” তৈরি করেন জোহানসবার্গের কাছে।
• বােয়ার যুদ্ধে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাম্বুলেন্স কর্পসের” প্রতিষ্ঠা করেন। তার জন্য 1914 সালে ব্রিটিশ সরকার গান্ধীজীকে “Kaisar-i-Hind”-এ পুরস্কৃত করেন।
• ৩ই জানুয়ারী, 1915 সালে গান্ধীজী ভারতে ফিরে আসেন। (এই দিনটি প্রবাসী ভারতীয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়।)
• গান্ধীজীর উপর সাহিত্যের প্রভাব “Unto This Last” by জন রাসকিন, ইমারসন, যােরায়েউ, লিও টলস্টয়, বাইবেল এবং গীতা।
• গান্ধীজীর সাহিত্য রচনা
• সর্বোদয় (Sarvoday)—1908 সালে গুজরাটী ভাষায় অনুবাদ করা হয় “Unto this Last”-কে।
• হিন্দ স্বরাজ (Hind Swaraj)—1909 সালে লন্ডন থেকে সাউথ আফ্রিকা যাবার পথে এস. এস. from Getaria Gaalay (S. S. Kildonan Castle) জাহাজের উপর বসে উনি এটা লিখেছিলেন। এই বইটিতে উনি আধুনিক যুগে মানবিকতা যে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তার কারণ এবং তার প্রতিকার। ইনি এটি প্রথম গুজরাটী ভাষায় লিখেছিলেন এবং সেটা ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। পরে তিনি এই বইটাকে ইংরাজীতে অনুবাদ করেছিলেন।
• ইনি সম্পাদক হিসাবে ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ান (1903-15), হরিজন (1919-3]), ইয়ং ইন্ডিয়া (1933-42)।
গান্ধীজীর অন্যান্য নাম।
•মহাত্মা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দিয়েছিলেন 1917 সালে।
•মালঙ্গ বাবা/নাঙ্গা ফকির -নামটি দিয়েছিলেন কাবালিরা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের 1930 সালে।
• হাফ নেকেড সেন্ট/ইন্ডিয়ান ফকির/ট্রেইটার ফকির উইনস্টন চার্চিল 1931 সালে নামটি দিয়েছিলেন।
•রাষ্ট্রপিতা–1944 সালে সুভাষচন্দ্র বােস দিয়েছিলেন।
✓গান্ধীজীর ব্যাপারে মুখ্য তথ্য
•1924–21 দিন—প্রথম হিন্দু মুসলিম ঐক্য উপবাস (Hindu-Muslim Unity Fast)
•1933–21 দিন—তৃতীয় এন্টি-আনটাচাবিলিটি উপবাস (Anti-Untouchability)।
•1943-21 দিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য।
✓সিরােজিনী নাইডু (1879-1949)
• সরােজিনী নাইডু “নাইটেগল অফ ইন্ডিয়া (Nightinagle of India) নামে জনপ্রিয় ছিলেন। ইনি অন্ধপ্রদেশের মহিলা কবি এবং জাতীয়তাবাদী ছিলেন। গােপাল কৃষ্ণ গােখেলের পথ প্রদর্শনে ইনি প্রথম মহিলা যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
• ইনি অংশগ্রহণ করেছিলেন ডান্ডি মার্চ গান্ধীজীর সঙ্গে এবং 1925 সালে কংগ্রেসের কানপর সেশনে সভাপতিত্ব করেন।
• উনি প্রথম মহিলা যিনি প্রথম রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হন অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে।
• ওনার বিখ্যাত বই ছিল দা গােল্ডেন থেসহােল্ড (1905), দা ফেদার অফ দা ওন, দা বার্ড অফ টাইম (1912) এবং দা ব্রোকেন উইং (1917)।
✓চক্রবর্তী রাজাগােপালাচারী (1879-1972):
• ইনি একজন রাজনীতিবিদ এবং উকিল ছিলেন তামিলনাড়ুর।
• অসহযােগ আন্দোলনের সময়ে উনি ওনার আইনের চর্চা করা বন্ধ করে দেন।
• উনি জেনারেল সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন আই. এন. সি.-র 1921-22 সালে এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হয়েছিলেন 1922-24 সালে।
• উনি আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন তামিলনাড়ুতে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারণ তিনি সল্ট মার্চ করেছিলেন তিকোনােপলি থেকে বেদারনিয়মা পর্যন্ত তানজোড় উপকূলে।
• 1937 সালের নির্বাচনে এনাকে মাদ্রাজের মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন।
• ইনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন 1942 সালে ক্রিপস্ত্রে প্রস্তাব গ্রহণ না করায়।
•উনি কংগ্রেস লিগ কো-অপারেশনের জন্য সি. আর. (C.R.) ফর্মুলা তৈরি করেছিলেন।
•1947 সালের (আগস্ট থেকে নভেম্বর) অবধি পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর পদে নিযুক্ত ছিলেন। এবং ইনি অন্যতম প্রথম গভর্নর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া পদে নিযুক্ত ছিলেন (1948 থেকে 1950 অবধি)।
• দেশের প্রথম কেবিনেটে উনি প্রথম হােম আফায়ের্সের মন্ত্রীপদে নিযুক্ত হন।
•1959 সালে উনি “স্বতন্ত্র পার্টির প্রতিষ্ঠা করেন। সত্যমেব জয়তের মধ্যে ওনার যুক্তিবাদী ধারণার প্রতিফলন পাওয়া যায়।
• 1954 সালে ওনাকে 'ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। |
✓ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ (1884-1963)
• উনি যােগদান করেছিলেন স্বদেশী আন্দোলনে (প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বিহারী স্টুডেন্টস্ কনফারেন্স), চম্পারণ সত্যাগ্রহ, অসহযােগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন এবং ভারত ছাড়াে আন্দোলন।
• উনি পাটনায় জাতীয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
• উনি মিনিস্টার-ইন-চার্জের পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ফুড এন্ড এগ্রিকালচার বিভাগে অন্তর্বর্তী সরকারে। • উনি গণপরিষদের প্রথম সচিব ছিলেন।
• উনি প্রথম রাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ইন্ডিয়ান রিপাবলিকের। 1962 সালে এনাকে ভারত রত্ন পুরস্কার দিয়ে ভূষিত করা হয়।
• ইনি দেশ (হিন্দী সাপ্তাহিক) সংবাদপত্রের সম্পাদনা করেছিলেন।
✓ জওহরলাল নেহেরু (1889-1964)
•জওহরলাল নেহেরু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। উনি আধুনিক ভারতের ভাস্কর হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
• জওহরলাল নেহেরু জন্মগ্রহণ করেছিলেন 14ইনভেম্বর, 1889 সালে এলাহাবাদে।
• 1928 সালে ইনি আই. এন. সি. (INC)-র জেনারেল। সচিব পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং 1929 সালে সভাপতি পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
• লাহাের সেশনে, নেহেরজীর সভাপতিত্বে ইনডিপেনডে রেসােলিউসন পাশ হয়েছিল।
• 1947-1964 সাল অবধি উনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত ছিলেন।
•“পঞ্চশীল ডকট্রিন’-এর লেখক ছিলেন এবং ইনি নন-এলাইনমেন্টের (Non-Alignment)-এর নীতিতে বিশ্বাস করতেন।
• তাঁর রচিত কিছু লেখা দা ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া, গ্লিসেস্ অফ ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি, এ ব্রাঞ্চ অফ ওল্ড লেটার, দি ইউনিটি অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিপেনডেনস্ এন্ড আফটার, ইন্ডিয়া এন্ড দা ওয়ার্ল্ড তার আত্মজীবনীর নাম “এন অটোবায়ােগ্রাফি”।
✓মৌলানা আবুল কালাম আজাদ (1890-1958)
• মৌলানা আবুল কালাম আজাদ 1890 সালে মেক্কাতে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ শিক্ষা লাভ করার জন্য উনি কায়রােতে অল অজহার ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান।
• স্বদেশী আন্দোলনের সময় উনি আই. এন. সি.-তে যােগদান করেন।
• উনি দুটি সাপ্তাহিক পত্রিকা শুরু করেছিলেন “অল হিলাল” এবং “অল বলাগা”।
. 1920 সালে উনি খিলাফত কমিটির সভাপতি পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। দিল্লীতে 1923 সালে উনি কংগ্রেস সেশনের সভাপতি পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
• 1945 সালে উনি সিমলা কনফারেন্স-এ কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে যােগাদন করে। কেবিনেট মিশন প্ল্যানের সময়ে উনি প্রতিনিধিত্ব করেন।
• 1946 সালে উনি গণপরিষদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। উনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। উনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী।
• ইউ. জি.সি. (UGC) এবং আই.আই.টি. (IIT) খঙ্গপুর প্রতিষ্ঠায় ওনার একটা যােগদান ছিলেন।
• ওনার লেখা “ইন্ডিয়া উইনস্ ফ্রিডম”অনেক সমালােচনার ঝড় উঠেছিল।
✓খান আব্দুল গাফফার খান (1890-1988)
• সীমান্ত গান্ধী, বাদশাহ খান এবং সরশাদী গান্ধী নামে জনপ্রিয় ছিলেন খান আবদুল গফর খান।
• উনি একটা দলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন
“খােদাই খিদমদগার”। এটা একটা অহিংস আন্দোলনকারীর সংগঠন যেটা ‘রেড সার্টস’ নামে পরিচিত।
•‘পাখতুন’ নামে উনি একটা সংবাদপত্রের প্রকাশনা করেছিলেন।
• খান আবদুল গফফর খান তীব্রভাবে বিভাজনের (Partition) বিরােধিতা করেছিলেন।
•ভারত সরকারের দ্বারা 1987 সালে ওনাকে ভারতরত্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
✓ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর (1891-1956)
• উনি একজন আইনজ্ঞ, সামাজিক রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক এবং অবদমিত দলের নেতা ছিলেন।
• 1891 সালে উনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন মাহার কাস্টে মাহুতে (বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত)।
• উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য উনি ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার গিয়েছিলেন।
•মাহার কাস্টে উনি ছিলেন প্রথম স্নাতক/
•উনি তিনটি গােল টেবিল বৈঠকে যােগ দিয়েছিলেন।
* 1932 সালে গান্ধীজীর সাথে উনি পুণা সন্ধি সই করেছিলেন।
• 1942 থেকে 1946 সাল অবধি উনি গভর্নর জেনারেলের কার্যনির্বাহী পরিষদে ছিলেন।
• ইন্ডিয়ান লেবার পার্টি, দি মিডিউল কাস্ট ফেডারেশন, কাস্ট ফেডারেশন এবং পিউপিল এডুকেশন সােসাইটির উনি সংগঠিত করেছিলেন।
• ভারতীয় সংবিধানের খসড়া কমিটির উনি সভাপতি ছিলেন।
• ভারতীয় বিধানসভায় উনি হিন্দু কোড বিল নিয়ে আলােচনা করেছিলেন।
•নেহেরুর কেবিনেটে উনি আইনমন্ত্রী পদে নিযুক্ত ছিলেন 1947 থেকে 1951 অবধি।
• জীবনে শেষের দিকে উনি বৌদ্ধধর্ম আপন করে নিয়েছিলেন।
• 1924 সালে ডিপ্রেসড ক্লাস ইনস্টিটিউট এবং সমাজ সমতা সংঘ 1927 সালে উনি এগুলাের প্রতিষ্ঠা করেন। ডঃ আম্বেদকর ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ।
•ডাঃ আম্বেদকর “পিউপিলস্ এডুকেশন সােসাইটির প্রতিষ্ঠা করেন।
• 1956 সালে উনি “দি রিপাবলিকন পার্টি” শুরু করেছিলেন।
✓ সুভাষচন্দ্র বােস (1897-1945)
• সুভাষচন্দ্র বােস “নেতাজী” নামে জনপ্রিয় ছিলেন। 1897-এর 23শে জানুয়ারী ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন। res
• 1920 সালে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আই. সি. এস.) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন কিন্তু চাকরি পরিত্যাগ করেন। উনি গান্ধীজীর ডাকে অসহযােগ আন্দোলনে যােগ দেন।
•1928 সালে সুভাষচন্দ্র বােস ও জওহরলাল নেহেরু মিলিতভাবে “ইন্ডিপেন্ডেস্ লিগ অফ ইন্ডিয়া” গঠন করেন।
•1938 সালে আই. এন. সি-র হরিপুর কংগ্রেস অধিবেশনে সভাপতি পদে নিযুক্ত হন। 1939 সালে ত্রিপুরি অধিবেশনে সভাপতি পদে নিযুক্ত হন।
• গান্ধীজীর সাথে ভাবাদর্শগত পার্থক্যর জন্য নেতাজী ত্রিপুরী অধিবেশন থেকে পদত্যাগ করেন।
• 1939 সালে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন।
• 1941 সালে ছদ্মবেশে কলকাতা ত্যাগ করে বার্লিনে পৌঁছান এবং হিটলারের সঙ্গে দেখা করেন।
•1943 সালে সিঙ্গাপুরে ভারতীয় জাতীয় সেনাদের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন এবং ভারতীয় প্রভিনসিয়াল সরকার গড়ে তােলেন। দেব।”
•তার আন্দোলনের মূল স্লোগান ছিল “দিল্লী চলাে” ও “তােমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তােমাদের স্বাধীনতা
• নেতাজী মহাত্মা গান্ধীকে “জাতীয় পিতা” বা “রাষ্ট্রপিতা”-র আখ্যা দিয়েছেন।
• নেতাজী “জয় হিন্দ” স্লোগান দিয়েছিলেন।
• উনি নিজের আত্মজীবনী লেখেন “দি ইন্ডিয়ান স্ট্রাগেল”। ॥
✓ভগত সিং (1907-1931)
•হিন্দুস্থান সােসালিস্ট রিপাবলিকেশন এ্যাসােসিয়েশনের (HSRA) সদস্য ছিলেন।
• মিলিটেন্ট নৌজওয়ান ভারত সভা শুরু করেছিলেন পাঞ্জাবে।
• 1928 সালে ব্রিটিশ ও সরকারী অধ্যক্ষ সােনডেরসকে হত্যা করেছিলেন। তিনি লাহাের ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত হন এবং কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে বােমাবাজি করেছিলেন।
• 1931-এর 23শে মার্চ এনাকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়।

No comments:
Post a Comment