Breaking







Showing posts with label পলিটি. Show all posts
Showing posts with label পলিটি. Show all posts

Monday, 13 September 2021

September 13, 2021

Indian Politics: Part and Schedule of the Indian Constitution Free Pdf Download

 

Part and Schedule of the Indian Constitution for WBCS

Indian Politics: Part and Schedule of the Indian Constitution for WBCS , SSC, Railways and Defense Examinations


India has the longest constitution in the world with 448 articles, 25 sections and 12 schedules. The Constitution of India is the framework that sets out the boundaries of codes, procedures, rights, duties, rules and regulations to be followed and adopted by citizens and the government. BR Ambedkar was the chief architect and known as the "Father of the Indian Constitution". The Constitution was adopted by the Constituent Assembly of India on 26 November 1949 and came into force on 26 January 1950 which is celebrated as Republic Day. At startup, it had 395 articles in 22 sections and 8 schedules. To date, 104 amendments have been made to the constitution.


- Part of the Indian Constitution

Initially, there were 22 parts to the Indian Constitution. Subsequently, amendments to Part IVA, IXA, IXB, and XIVA were added. See parts of the Indian Constitution.


File Details


PDF Name : Part and Schedule of the Indian Constitution for WBCS

Language : English

Size : 500kb

No. of Pages : 4

Download Link: Click Here to Download



Top 100+ Current Affairs of August PDF 👉 Click Here

➤ History PDF - Click Here

➤ Online Quiz - Click Here

➤ Hand Written Note - Click Here

Thursday, 3 June 2021

June 03, 2021

ভারতে মৌলিক অধিকার সমূহ উপরে বিস্তারিত আলোচনা পর্ব -২/Detailed discussion on fundamental rights in India Part-2.



প্রিয় বন্ধুরা

আজকে আমরা শেয়ার করতে চলেছি ভারতের মৌলিক অধিকার যেটি আমাদের পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আশা করছি এই চাপের উপরে সম্পূর্ণ ডিটেইলস বিবরণ আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম।


শিক্ষার অধিকার (ধারা 21 A)

• 2002 সালে ৪6 তম সংবিধান সংশােধনের মাধ্যমে 21 A বা 21 -ক নং ধারাটি সংযােজিত হয়। প্রাথমিক ভাবে এই অংশটি সংবিধানের চতুর্থ অংশের (part iv) 45 নং ধারায় উল্লিখিত ছিল। এই ধারায় বলা আছে যে রাষ্ট্র 6-14 বছর বয়স্ক প্রতিটি শিশুর জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করবে।

• পার্লামেন্ট অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন 2009 বলবৎ করে।

• এই আইনের মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষাকে(প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী) বাধ্যতামূলক করা হয়, উচ্চ শিক্ষাকে নয়।

• গ্রেপ্তারি ও আটক হওয়া থেকে সুরক্ষা - (22 নং ধারা)

 নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি এবং আটক হওয়া থেকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে—

• যুক্তি সঙ্গত কারণ না দেখিয়ে বা না জানিয়ে কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার বা আটক করা যায় না।

• গ্রেপ্তার করার 24 ঘন্টার মধ্যে আটক ব্যক্তিকে নিকটবর্তী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করতে হবে [যাতায়াতের সময় এবং ছুটির দিনগুলি বিবেচ্য হবে না ]

• সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া ঐ ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সময়ের জন্য আটক করে রাখা যাবে না।

• আটক ব্যক্তিকে উকিলের মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযােগ থেকে বঞ্চিত করা যায় না।

• 44তম সংবিধান সংশােধনের মাধ্যমে নিবর্তনমূলক আটকের সময়সীমা (উপদেষ্টা পর্যদের মতামত গ্রহণ না করেই) কমিয়ে দুই মাস করা হয়েছে। এই সুরক্ষাগুলি নিবর্তনমূলক আটক আইনে ধৃত ব্যক্তি বা শত্রুভাবাপন্ন বিদেশীদের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে না।


✓ শােষনের বিরুদ্ধে 

• মানুষ ক্রয়বিক্রয় এবং বেগার খাটানাে নিষিদ্ধকরণ - (ধারা 23)

• এই ধারায় মানুষ নিয়ে ব্যবসা অর্থাৎ মানুষ ক্রয়বিক্রয় করা, বেগার খাটানাে বা বলপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

• শিশুদের কারখানা ইত্যাদিতে নিযুক্তির নিষিদ্ধকরণ - (ধারা 24)

• এই ধারায় 14 বছরের কম বয়স্ক শিশুদের খনি, কারখানা, তথা অন্যান্য বিপজ্জনক কাজ যেমন নির্মাণ কাৰ্য, রেলপথ নির্মাণ ইত্যাদিতে নিয়ােগ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ক্ষতিকর নয়, এমন কোন কাজে নিযুক্তি নিষেধ করা হয়নি।


✓ ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার

 • বিবেকের স্বাধীনতা এবং ধর্মস্বীকার, ধর্মপালন এবং ধর্মপ্রচারের স্বাধীনতা (25নং ধারা)

• এই ধারায় প্রতিটি মানুষকে তার নিজস্ব ধর্ম বিশ্বাসকেস্বীকার করার, আচার আচরণ পালন করার তথা ধর্ম প্রচার করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

• এই অধিকার নাগরিক ও বিদেশী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযােজ্য।

• ধর্মীয় কার্যাবলী পরিচালনের স্বাধীনতা (26 নং ধারা) প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিম্নলিখিত অধিকারগুলি রয়েছে

(a) ধর্ম বা দানের উদ্দেশ্যে সংস্থাস্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ; 

(b) নিজের ধর্মসংক্রান্ত কার্যাবলী নিজেরাই পরিচালনা করা; 

(c) স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও ভােগদখল করা; 

(d) আইন অনুযায়ী ঐ সম্পত্তির পরিচালনা করা।25নং ধারায় প্রতিটি ব্যক্তিকে ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, এবং 26 নং ধারায় ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলিকে অধিকার দেওয়া হয়েছে।


✓ ধর্মের প্রচারের উদ্দেশ্যে কর আদায় নিষিদ্ধকরণ (27 নং ধারা)

• 27 নং ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে কোন বিশেষ ধর্ম বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রসার বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোন রূপ কর আদায়ে বাধ্য করা যাবে না। তবে এই ধারায় শুধুমাত্র কর আদায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কোনরূপ বৃত্তি বা অনুদান (fee) ধার্য করা নিষিদ্ধ করা হয়নি।

• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মশিক্ষাদান নিষিদ্ধকরণ (28নং ধারা) সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে সরকারি অর্থ দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনরূপ ধর্মীয় শিক্ষা দান করা যাবে না।


✓ সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার

• সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণ (29 নং ধারা)

• 29 নং ধারা বলে ভারতবর্ষের যেকোন অংশে বসবাসকারী নাগরিকরা তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট ভাষা, লিপি এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণের অধিকার ভােগ করবেন।

• এই ধারায় ধর্মীয় ও ভাষাগত - উভয় প্রকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে।

√ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করার অধিকার সংখ্যালঘুদের প্রদান (30 নং ধারা)

• 30নং ধারা বলে ধর্মীয় ও ভাষাগত উভয় প্রকার সংখ্যালঘুদের কিছু অধিকার দেওয়া হয়েছে—

(a) প্রত্যেক সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করা অধিকার রয়েছে।

(b) আর্থিক সাহায্য মঞ্জুর করার সময়, রাষ্ট্র কোনাে সংখ্যালঘু কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বঞ্চিত করবে না।

• 30 নং ধারায় একজন সংখ্যালঘুকে তার সন্তানাদিকে নিজ ভাষায় শিক্ষাদান করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

• ধারা 31নং - 44 তম সংবিধান সংশােধনী আইনের, 1978 মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয়েছে।


✓ সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার

• এটি হল সেই অধিকার, যার মাধ্যমে মৌলিক অধিকার উলঙ্ঘন হলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায়।

• 32 নং ধারায় মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চয়িত করা হয়েছে।

• ড. বি. আর. আম্বেদকর 32 নং ধারাকে 'Soul of the Constitution and very heart of it' বলে অভিহিত করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট 32নং ধারাকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামাের অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংবিধান নির্দিষ্ট ক্ষেত্র ছাড়া এই ধারাটিকে স্থগিত করে রাখা যায় না। যেমন 359 ধারা অনুযায়ী, এই ধারাটিকে স্থগিত করা যায়, কিন্তু বর্জন করা যায় না (জাতীয় জরুরী অস্থার সময়ে)।

• 32 নং ধারা বলে সুপ্রিম কোর্ট ও 226 ধারা বলে হাইকোর্ট লেখ (writ) জারি করে মৌলিক অধিকারগুলি সুরক্ষিত করতে পারে।

• লেখ জারি করার ধারনাটি ব্রিটিশ সংবিধান থেকে গৃহীত


✓ লেখ (writs) ও তার প্রকারভেদ:

 • বন্দী প্রত্যক্ষীকরণ (Habeas Corpus)

      এটি একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হল "to have the body". এই আদেশটি আদালত কোন এমন কর্তৃপক্ষের জন্য জারি করে, যেটি কোন ব্যক্তিকে আটক করে রেখেছে, এই আদেশের মাধ্যমে ঐ কর্তৃপক্ষকে বন্দীকে আদালতের সামনে সশরীরে হাজিরা করতে বলা হয়। এরপর আদালত ঐ ব্যক্তিকে আটক করার কারণ ও বৈধতা খতিয়ে দেখে। যদি কারণ অবৈধ বলে প্রমাণিত হয়, তবে আটক ব্যক্তিকে মুক্ত করা হয়। তাই এই লেখটিকে অবাধ ভাবে আটক হওয়ার থেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষার উপায় (bulwark of individual liberty against arbitrary detention) বলে অভিহিত করা হয়। এই লেখটি কোন সরকারি কর্তৃপক্ষ বা কোন একক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে জারি করা যায়।

পরমাদেশ/আমরা আদেশ করছি ( Mandamus)

• এর আক্ষরিক অর্থ হল "We Command"। যখন কোন সরকারি কর্মচারী কর্তব্য পালনে ব্যর্থ বা অসম্মত হন, তখন তাকে সঠিকভাবে কর্মসম্পাদন করার জন্য আদালত এই লেখ জারি করে। এটি কোন সরকারি সংস্থা, কর্পোরেশন, নিম্ন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা সরকারের ক্ষেত্রে জারি করা যায়।

• এটি রাষ্ট্রপতির বা কোন রাজ্যের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জারি করা যায় না, এটি বিচারবিভাগীয় এবং প্রশাসনিক - উভয় প্রকার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই জারি করা যায়।

প্রতিষেধ (Prohibition)

• কথাটির অর্থ হল ‘নিষেধ করা’এটি কোন উৰ্দ্ধতন আদালত (SC বা HC) কোন নিন্মতন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশ্যে জারি করে এর মাধ্যমে নিম্নতন আদালতকে তার এক্তিয়ার বহির্ভূত কার্য সম্পাদনে বাধা দেওয়া হয়। কোন মন্ত্রকের অফিস বা কোন ব্যক্তিগত (Private) অফিসের কেসের ক্ষেত্রে এই লেখ জারি করা যায় না।

• পরদেশের মাধ্যমে যেমন কোন কার্য সম্পাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রতিষেধের মাধ্যমে কোন কার্য সম্পাদন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

• এই লেখাটি কেবলমাত্র কোনাে বিচার বিভাগীয় বা আধা বিচার বিভাগীয় (quasi-Judicial) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই জারি করা যায়।এটি প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ আইন নির্মাণকারী সংস্থা (legislative bodies) বা কোন একক ব্যক্তির বা সংস্থার বিরুদ্ধে জারি করা যায় না।

• কথাটির অর্থ হল বিশেষ ভাবে জ্ঞাত হওয়া (to be certified)। এটি কোন উচ্চতর আদালত কোন নিম্নতর আদালত বা ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশ্যে জারি করে। এর মাধ্যমে নিম্নতর আদালতের অধীন কোন মামলাকে উচ্চ আদালতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়, বা কোন মামলায় নিম্নতর আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়কে খারিজ করা হয়। এটি সাধারণত নিম্ন আদালত কর্তৃক এক্তিয়ার বহির্ভূত কার্য সম্পাদন বা আইনের ভুল ব্যাখ্যা দান ইত্যাদি কারণবশত জারি করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিষেধ কেবলমাত্র প্রতিষেধক (Preventive) কিন্তু উৎপ্রেষণ হল প্রতিরােধক তথা প্রতিকারমূলক (Curative)।

• সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত ও উ ৎপ্রেষণ কেবলমাত্র বিচারবিভাগীয় বা আধা বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে জারি করা যেত, তবে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে নয়। এরপর 1991 সালে সুপ্রিম কোর্ট রায়দান করে যে যদি কোন প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ব্যক্তি অধিকারকেউলঙ্ঘন করে তবে তার উদ্দেশ্যে ও এই লেখ জারি করা যেতে পারে। প্রতিযেধের মতই উৎপ্রেষণ কোন আইন প্রনয়নকারী সংস্থা বা ব্যক্তি বা ব্যক্তিগত সংস্থার (Private bodies) উদ্দেশ্যে জারি করা যেতে পারে না।


মৌলিক অধিকারগুলির ওপর স্থগিতাদেশ

1. যুদ্ধ বা বহিআক্রমণের কারণে 352 নং ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি জাতীয় জরুরী অবস্থা ঘােষনা করলে 19নং ধারার অন্তর্গত স্বাধীনতার অধিকার গুলি অকার্যকর হয়। (সশস্ত্র বিদ্রোহের ক্ষেত্রে নয়।)

2. 359 নং ধারা অনুসারে একটি পৃথক ঘােষনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য সকল মৌলিক অধিকার গুলিকে (20 ও 21 ধারা বাদে) স্থগিত রাখতে পারেন।

3. 44 তম সংবিধান সংশােধনী আইনের (1978) মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, কোন অবস্থাতেই 20 ও 21 নং ধারাকে স্থগিত করে রাখা যাবে না।

4. সুতরাং বর্তমানে জরুরী অবস্থাকালীন সময়ে কেবলমাত্র 20 ও 21 নং ধারা ছাড়া অন্যান্য ধারার মৌলিক অধিকারগুলির বলবকরণের জন্য আদালতে আর্জি জানানাের ওপর রাষ্ট্রপতি স্থগিতাদেশ ঘােষনা করতে পারেন।


 ✓  সশস্ত্র বাহিনী ও মৌলিক অধিকার সমূহ।

33 নং ধারা - সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী পুলিশ বাহিনী, গােয়েন্দা সংস্থাগুলি ও সমতুল বাহিনীর সদস্যদের মৌলিক অধিকারের ওপর সীমাবদ্ধতা আরােপ করা বা অধিকারগুলি উচ্ছেদ করার ক্ষমতা পালামেন্টকে দেওয়া হয়েছে। 

34 নং ধারা - কোন অঞ্চলে সেনাবাহিনীর শাসন চলাকালীন অবস্থায় মৌলিক অধিকারগুলির উপর নানা সীমাবদ্ধতা (restrictions) আরােপ করা হয়।

35 নং ধারা - কিছু নির্দিষ্ট মৌলিক অধিকারগুলির বলবত্বারণের জন্য প্রয়ােজনীয় আইন প্রনয়ণের ক্ষমতা কেবলমাত্র পালামেন্টকে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য আইনসভাগুলিকে নয়। এর মাধ্যমে সারা দেশের নাগরিকরা সমান ভাবে তাদের মৌলিক অধিকারগুলি ভােগ করতে পারেন।


✓ যে যে মৌলিক অধিকারগুলি শুধুমাত্র নাগরিকরা ভােগ করেন বিদেশীরা নয়

15 নং ধারা - ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ বা জন্মস্থান নির্বিশেষে ভেদাভেদ প্রতিকার

16 নং ধারা - নিযুক্তির ক্ষেত্রে সমানাধিকার 19 নং ধারা - 6 টি অধিকার যথা—

(i) বাক ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা 

(ii) সমবেত হওয়ার স্বাধীনতা 

(iii) সংঘ গঠনের স্বাধীনতা 

(iv) যাতায়াত করার স্বাধীনতা 

(v) বসবাস করার স্বাধীনতা 

(vi) পেশাগ্রহনের স্বাধীনতা


✓ সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার (অনুচ্ছেদ 29 এবং 30) 

29নং ধারা—সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিক স্বার্থ রক্ষা করা। 

30নং ধারা—সংখ্যালঘুদের বিদ্যালয় পরিচালনা ও গঠনের অধিকার।


• যে যে মৌলিক অধিকারগুলি নাগরিক ও বিদেশীরা (শত্রুভাবাপন্ন বিদেশী বাদে) উভয়েই ভােগ করেন---

14 নং ধারা - আইনের দৃষ্টিতে সমতা ও আইন কর্তৃক সমভাবে রক্ষিত হওয়ার অধিকার 

20 নং ধারা - দোষী সাব্যস্ত হওয়া ও শাস্তি প্রাপ্তি থেকে সুরক্ষা।

Friday, 30 April 2021

April 30, 2021

গণপরিষদ ও সংবিধান রচনার ইতিহাস।History of Constituent Assembly and constitution writing.

 




প্রিয় বন্ধুরা

      আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব গণপরিষদ ও সংবিধান রচনার ইতিহাস।  এই গণপরিষদ ও সংবিধান রচনার ইতিহাস চ্যাপ্টারের উপর থেকে প্রতিনিয়ত আমাদের  এক্সাম এ প্রশ্ন এসে থাকেে। তাই এই চ্যাপ্টার থেকে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সেগুলো আপনাদের কাছে রাখলাম।


✍️ গণপরিষদ 

      একটি রাষ্ট্র যে যে মৌলিক শর্তের ভিত্তিতে চালিত হবে সেই শর্তগুলির একত্র সংকলনকে সংবিধান বলা হয়। প্রত্যেকটি সভ্য দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রের শাসনতান্ত্রিক কাঠামাে, প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং তাদের মুখ্য পদাধিকারীদের ভূমিকা, ক্ষমতা, দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার বিস্তারিত বিবরণ থাকে।ব্রিটেন ছাড়া বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের লিখিত সংবিধান আছে।

ভারতীয় সংবিধান সারা বিশ্বের লিখিত সংবিধানগুলির মধ্যে আয়তনে বৃহত্তম।সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় (26 নভেম্বর, 1949) এটিতে ছিল 22টি পার্ট, 395টি অনুচ্ছেদ এবং ৪টি তফশিল। বর্তমানে ভারতীয় সংবিধানে আছে 22টি পার্ট, 448টি অনুচ্ছেদ এবং 12টি তফশিল।


গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসারে একটি দেশের শাসনব্যবস্থার কাঠামো সংক্রান্ত বিধিনির্দেশিকা সেই দেশের অধিবাসীদের দ্বারা রচিত হওয়া উচিত। কিন্তু সমগ্র দেশবাসীর পক্ষে সংবিধান রচনার কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাই সংবিধান প্রণয়নের কাজে দেশবাসীর প্রতিনিধি হিসেবে কয়েকজনকে নিয়ে একটি সংস্থা গঠন করা হয়। এই সংস্থাকে গণপরিষদ (Constituent Assembly) বলা হয়।


✍️গণপরিষদ গঠন;- 1946 সালে ভারতে আগত ক্যাবিনেট মিশনের প্ল্যানের ভিত্তিতে ভারতের গণপরিষদ গঠিত হয়েছিল। ক্যাবিনেট মিশনের যে চারটি মূলনীতির উপর ভিত্তি করে গণপরিষদ গঠনের কথা হল হয়েছিল সেগুলি হল—

(১) প্রত্যেক প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্য তাদের জনসংখ্যার অনুপাতে প্রতি দশ লক্ষ জনতার জন্য গণপরিষদে একটি আসন পাবে। প্রদেশগুলির আসনসংখ্যা হবে 292টি এবং প্রিন্সলি স্টেটগুলির আসনসংখ্যা হবে সর্বাধিক 93টি।

(২) প্রত্যেক প্রদেশের আসনসংখ্যা সাধারণ, মুসলিম ও শিখ এই তিন সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে বিভক্ত হবে।

(৩) প্রত্যেক সম্প্রদায়ের সদস্যগণ একক হস্তান্তরযােগ্য সমানুপাতিক ভােটাধিকারের (Single Transferable Proportional Votes) ভিত্তিতে প্রাদেশিক আইনসভাগুলির থেকে নিজ নিজ প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে পারবে।

(৪) প্রিন্সলি স্টেটগুলি থেকে প্রতিনিধি মনােনয়নের পদ্ধতি আলাপ আলােচনার মাধ্যমে স্থির হবে।


✍️ক্যাবিনেট মিশনের প্ল্যান অনুসারে, 1946 সালের জুলাই মাসে গণপরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রদেশগুলি থেকে নির্বাচিত 292 জন প্রতিনিধি এবং প্রিন্সলি স্টেটগুলি থেকে নির্বাচিত 93 জন প্রতিনিধি নিয়ে ভারতের গণপরিষদ গঠিত হয়। 1946 সালের ৯ ডিসেম্বর দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে গণপরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।


✍️26 জানুয়ারি তারিখটিকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে নির্বাচনের কারণ: 1929 সালে, লাহােরে জওহরলাল নেহরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যরূপে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ স্বরাজের দাবি গৃহীত হয়। সেই অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, পরের বছর থেকে প্রত্যেক বছর 26 জানুয়ারি দিনটিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে সারা ভারত জুড়ে স্বাধীনতা দিবসরূপে পালন করা হবে। 1930 সাল থেকে 1947 সাল অবধি, প্রত্যেক বছর, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস 26 জানুয়ারি দিনটিকে ভারতের স্বাধীনতা দিবসরূপে পালন করত।


✍️26 জানুয়ারির এই ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে, 1950 সালের এই দিনটিতেই ভারতীয় সংবিধান কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


✍️গণপরিষদের কয়েকজন বিশিষ্ট সদস্যের নাম: গণপরিষদের কয়েকজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন 

(১) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল  

(২) জওহরলাল নেহরু 

(৩) ড. বি আর আম্বেদকর 

(৪) মৌলানা আবুল কালাম আজাদ (৫) কে এম মুন্সী 

(৬) তেজবাহাদুর সাপু 

(৭) রাজাগােপালাচারি 

(৮) কে শান্তারাম 

(৯) স্যার কৃয়স্বামী আইয়ার 

(১০) এস রাধাকৃয়ন


✍️গণপরিষদের খসড়া কমিটির সদস্যগণ : বি আর আম্বেদকর (চেয়ারম্যান), স্যার কৃয়স্বামী আইয়ার, এন গােপালাস্বামী আয়েঙ্গার, কে এম মুন্সী, সৈয়দ মহম্মদ শাহদুল্লা এবং ডি পি খৈতান। পরবর্তীকালে বি এল মিত্রের সদস্যপদ বাতিল হওয়ার পর সেই পদে নির্বাচিত হন এন মাধব রাও এবং ডি পি খৈতানের মৃত্যুর পর তার স্থলে টি টি কৃয়মাচারী নির্বাচিত হন।


✍️সংবিধান রচনা ব্যতিরিকে গণপরিষদের কৃত কার্যাবলি : ভারতীয় সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠিত হলেও ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকে প্রথম লােকসভা গঠন পর্যন্ত গণপরিষদকে কার্যনির্বাহী সংসদরূপে সংবিধান রচনা ব্যতিরিকে অন্যান্য বহু লেজিসলেটিভ দায়িত্বপালন করতে হয় যার মধ্যে অন্যতম ছিল—

(১) 1947 সালের 22 জুলাই, গণপরিষদ কর্তৃক স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা মঞ্জুর ও গ্রহণ করা হয়। (পতাকাটির নকশা তৈরি করেছিলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া নামক অপ্রদেশের এক বাসিন্দা)।

(২) 1949 সালের মে মাসে, কমনওয়েলথ অক্ নেশনসে ভারতের সদস্যপদ প্রাপ্তি অনুমােদিত হয়। 

(৩) 1950 সালের 24 জানুয়ারি, ভারতের জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় স্তোত্র গৃহীত হয়। 

(৪) 1950 সালের 24 জানুয়ারি, স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি

হিসেবে ড. রাজেন্দ্র প্রসাদকে নির্বাচন করা হয়।

Saturday, 10 April 2021

April 10, 2021

ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর।Detailed discussion on the preamble and origins of the Indian Constitution and answers to important questions.

প্রিয় বন্ধুরা

আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব পলিটি উপরে বিস্তারিত আলোচনা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর যেগুলো আপকামিং পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই দেরি না করে নিচের প্রশ্নগুলো প্র্যাকটিস করে নিন সাথে কিছু ডিটেলস সংবিধান সংক্রান্ত তথ্য দেয়া আছে সেগুলো দেখে নেবেন।


✍️ ভারতীয় সংবিধান

• সংবিধান হল যেকোনাে দেশের সাংগঠনিক আইন, যার মাধ্যমে বর্ণিত নীতিসমূহ ও গঠনব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেদেশের আইন নির্ধারিত হয়।

• এটিই দেশের সর্বোচ্চ আইন।

সংবিধানের শ্রেণীবিভাগ নিম্নরূপ-

(a) লিখিত সংবিধান (যেমন - ভারতীয় সংবিধান)

(b) অ-লিখিত সংবিধান (যেমন - ব্রিটিশ সংবিধান) ভারতীয় সংবিধান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ লিখিত সংবিধান। 

• 1934 সালে এম. এন. রায় নামক একজন প্রমুখ কমিউনিষ্টব্যক্তিত্ব প্রথম সংবিধান রচনার প্রয়ােজনীয়তা নিয়ে চিন্তাভাবনা ব্যক্ত করেন। পরবর্তীকালে 1935 সালে জাতীয় কংগ্রেসে এই ভাবনাটি নিয়মানুগ ভাবে গৃহীত হয়। ব্রিটিশ সরকার 1940 সালের আগস্ট -অফার’ এ সংবিধান রচনার এই দাবীটিকে সরকারী স্বীকৃতি দেয়।

• ভারতীয় সংবিধান 1949 সালের 26 নভেম্বর ভারতীয় জনগণ কর্তৃক গৃহীত হয়।

• 1950 সালের 26 জানুয়ারী সংবিধান সম্পূর্ণরূপে বলবৎ করা হয়।

• মূল সংবিধানে 395 টি ধারা, 22 টি অধ্যায় ও ৪টি তফসিল ছিল। বর্তমান সংবিধানে 448 টি ধারা, 12 টি তফসিল ও 24 টি অধ্যায় রয়েছে।

• 1946 সালের 16 May তারিখে গৃহীত ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনার অধীনে গঠিত গণপরিষদের দ্বারা ভারতীয় সংবিধান গঠিত হয়েছিল।

• 42 তম সংবিধান সংশােধনীর দ্বারা বহুবিধ ক্ষেত্রে সংবিধানের সংশােধন করা হয়েছিল। তাই এই সংশােধনীটিকে “সংবিধানের ক্ষুদ্র সংস্করণ’ বলা হয়ে থাকে।


✓গণপরিষদের গঠন।

• গণপরিষদের মােট সদস্যসংখ্যা ছিল 389 এর মধ্যে 296 জন ছিলেন প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত (ব্রিটিশ ভারতের 11টি গভর্নর শাসিত প্রদেশ থেকে 292 জন এবং মুখ্য 4 কমিশনার শাসিত দিল্লী, আজমীর, মারওয়ার, কুর্গ ও ব্রিটিশ বালুচিস্তান থেকে 4 জন করে প্রতিনিধি ছিলেন)।

• প্রতিটি প্রদেশে মুসলিম, শিখ এবং সাধারণ এই তিনটি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার অনুপাতের নিরিখে আসনগুলি সংরক্ষিত ছিল।

• অবশিষ্ট 93টি আসনে ছিলেন দেশীয় রাজ্যসমূহের মনােনীত প্রতিনিধিরা, যদিও পরবর্তী কালে, তারা পরিষদে যােগদান করা থেকে বিরত থাকেন। ফলে ঐ আসনগুলি শূন্য থেকে যায়।

• প্রতিটি রাজ্য এবং প্রদেশ থেকে তাদের জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ করা হয়েছিল। গড়ে দশলক্ষ জনসংখ্যা পিছু একটি করে আসন নির্দিষ্ট করা হয়।


✓ সংবিধানের রচনা

• গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন 9 ডিসেম্বর, 1946 সালে নিউ দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়। মুসলিম লিগের সদস্যরা এই অধিবেশন বয়কট করায় কেবলমাত্র 21 জন সদস্য যােগদান করেন।

• পরিষদের বয়ােজ্যেষ্ঠ সদস্য ডঃ সচ্চিদানন্দ সিংহকে গণপরিষদের অস্থায়ী সভাপতি বা চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়ােগ করা হয়। পরে ই ডিসেম্বর তারিখে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং এইচ. সি. মুখার্জী পরিষদের স্থায়ী চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে যথাক্রমে নিযুক্ত হন

• 1946 সালের 13ই ডিসেম্বর জওহরলাল নেহরু ভারতীয় সংবিধানের উদ্দেশ্য “সমূহ সংক্রান্ত প্রস্তাব”(The Objective Resolution) -টি উত্থাপন করেন। 22 শে জানুয়ারীর, 1947-র অধিবেশনে এই প্রস্তাব সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়, এবং পরবর্তীকালে এই অংশটিকে ‘প্রস্তাবনা’ -র আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়।

• বি. এন. রাও সংবিধানিক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন।

• সংবিধান রচনার সমগ্র সময়কাল ছিল 2 বছর, ll মাস, ও 18 দিন।

• সংবিধান রচনার মূল নথি তৈরী করার দায়িত্ব ছিল খসড়া কমিটির ওপর। এই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন -

* ডঃ বি. আর. আম্বেদকর (চেয়ারম্যান)

* এন. গােপালাস্বামী আয়েঙ্গার

* আল্লাদি কৃষ্ণস্বামী আইয়ার ( উল্লেখ্য আইনবিদ)

* কে. এম. মুন্সী (উল্লেখ্য আইনবিদ)

* সৈয়দ মহম্মদ শাহেদুল্লাহ

* এন মাধব রাও (বি. এল. মিত্রের স্থানে)

* ডি. পি. খৈতান (তার মৃত্যুর পর 1948 সালে টি. কৃষ্ণমচারী যােগদান করেন তার পদে)

* ছয় মাসেরও কম সময়ে সংবিধানের খসড়াটি প্রণয়ন করা হয়েছিল।

• নাগরিকত্ব, নির্বাচন এবং অস্থায়ী সংসদ সংক্রান্ত শর্ত (Provision) গুলি তৎক্ষনাৎকার্যকরী করা হয়েছিল। অন্যান্য প্রভিশনগুলি 26জানুয়ারী, 1950 তারিখে বলবৎ করা হয়। উল্লেখিত এই যে, 1930 সালের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্রে স্বীকৃত “পূর্ণ স্বরাজ”-এর দিনটিকে স্মরণ করেই এই 26 জানুয়ারী দিনটিকে নির্বাচন করা হয়েছিল। (“পূর্ণ স্বরাজ” -এর দাবিটি 1929 সালের লাহাের অধিবেশনে জাতীয় কংগ্রেস পাশ করে)।

• সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে গণপরিষদে 13টি কমিটি তৈরী হয়েছিল

• প্রস্তাবনার অর্থ হল সংবিধানের ভূমিকা বা সংবিধানের অন্তর্গত আইনগুলির মুখবন্ধ।

• সংবিধান প্রনেতারা আমেরিকার সংবিধান থেকে এই প্রস্তাবনার ধারণাটি গ্রহন করেন। আমেরিকার সংবিধান হল প্রস্তাবনা সম্বলিত প্রথম লিখিত সংবিধান।

• ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবধারাটি জে. এল. নেহরুর উদ্দেশ্যসমূহ সংক্রান্ত প্রস্তাবাদির (Objective Resolution) ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই প্রস্তাবাদি 13ই ডিসেম্বর, 1946 তারিখে গণপরিষদে গৃহীত হয়।

• ন্যায়বিচার (Justice) এর ধারণা রাশিয়া থেকে গৃহীত স্বাধীনতা’ (Liberty) সাম্য’ (Equality) ও ‘সৌভ্রাতৃত্ব’ (Fraternity) এর ধারণা ফরাসী বিপ্লব থেকে গৃহীত। এ প্রস্তাবনা, সংবিধানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। (Integral Part of Constitution)

 * প্রস্তাবনার বিভিন্ন সংজ্ঞা :

(i) N.A Palkivala - কনস্টিটিউশন

(ii) K.M. Munshi - পলিটিকাল হরােস্কোপ অফ দ্য ইন্ডিয়ান কনস্টিউশন

(iii) Thakurdas Bhargav - CUG (Soul) OFWকনস্টিটিউশন

• প্রস্তাবনা সকল ক্ষমতার উৎস রূপে ভারতীয় জনগণকে সুস্পষ্ট ভাবে স্বীকার করে।

• প্রস্তাবনা, আইন দ্বারা বলবৎযােগ্য (enforceable) নয়। 

• সংবিধানের বিভিন্ন অংশের ওপর আলােকপাত করা তথা তাদের ব্যাখ্যার জন্য সুপ্রিম কোর্ট, প্রস্তাবনার সাহায্য নিয়ে থাকে।


📌 কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর নিচে আলোচনা করা হলো।


১. ভারতীয় শাসনতন্ত্র যে দেশের অনুকরণে পার্লামেন্টারি শাসনব্যবস্থা রূপায়ণ করেছে (WBCS (Prelim)

ক। ফ্রান্স 

খ। ব্রিটেন  

গ। কানাডা 

ঘ। সুইডেন 

উত্তর:- খ

২. ভারতবর্ষের সংবিধান নিন্মােক্ত কোন্ আইনকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে? 

ক। ভারতশাসন আইন, 1848 

খ। ভারতশাসন আইন, 1919 

গ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিলস অ্যাক্ট,1909

ঘ। ভারতশাসন আইন, 1935 

 উত্তর:- ঘ

৩. ভারতীয় শাসনতন্ত্রের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ভারতবর্ষ একটি—

ক। সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র 

খ। সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র

গ। সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র 

ঘ। যুক্তরাষ্ট্রীয়, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র

উত্তর:- গ

 ৪. ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থা হল

ক। গণতান্ত্রি

খ। একনায়কতান্ত্রিক

গ। সামরিক

ঘ। উপরােক্ত কোনােটিই নয়

উত্তর:- ক

৫. সার্বভৌম’শব্দটির অর্থ---

ক। বৈদেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত

খ। অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত

গ।সীমানা সম্পর্কিত বিতর্ক থেকে মুক্ত

ঘ। কোনাে আন্তর্জাতিক সংস্থার নিয়ন্ত্রণমুক্ত  

উত্তর:- খ

৬. নিম্নলিখিত কোন ধারণাটি ভারতীয় সংবিধান রচনার সময় প্রণেতাগণ গ্রহণ করেননি?

ক। মৌলিক অধিকার 

খ। যুগ্ধা তালিকা

গ। মৌলিক কর্তব্য 

ঘ। নির্দেশাত্মক নীতি

উত্তর:- গ

৭. ভারতের বিচারক্ষেত্রে জন স্বার্থ মামলার ধারণা নিম্নলিখিত কোন দেশ থেকে আগত? 

ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 

খ। সুইডেন 

গ। কানাডা

উত্তর:- খ

৮. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের সংবিধান

ক। যুক্তরাষ্ট্রীয় 

খ। এককেন্দ্রিক

গ। আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয়

ঘ। উপরােক্ত কোনােটিই নয় 

উত্তর:- গ

৯. নিম্নলিখিত কোন্ রাষ্ট্রে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র বিদ্যমান? 

ক। নেপাল 

খ। গ্রেট ব্রিটেন

গ। জাপান

ঘ। উপরােক্ত সবকটিই সঠিক

উত্তর:- ঘ

১০. ব্রিটেনের সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে রাজা বা রানির পদ—

ক। বংশানুক্রমিক এবং নিয়মতান্ত্রিক 

খ। বংশানুক্রমিক কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক নয় 

গ। নিয়মতান্ত্রিক কিন্তু বংশানুক্রমিক নয়

ঘ। বংশানুক্রমিক নয় এবং নিয়মতান্ত্রিকও নয়

উত্তর:- ক

 ১১. একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হল— 

ক। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোনােরকম ব্যক্তিগত উদ্যোগ বা ব্যক্তি মালিকানা থাকবে না 

খ। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষেত্র রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে 

গ। উৎপাদনের উৎসগুলি থাকবে রাষ্ট্রের মালিকানাধীন এবং রাষ্ট্র উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রীর বণ্টনব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করবে 

ঘ। উপরােক্ত সবকটিই সঠিক 

উত্তর:- ঘ

১২. পৃথিবীর কোন্ দেশ সর্বপ্রথম তাদের সংবিধানের শুরুতে প্রস্তাবনাকে অন্তর্ভুক্ত করে? 

ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 

খ। ইংল্যান্ড 

গ। কানাডা

ঘ। আয়ারল্যান্ড 

উত্তর:- ক

১৩. জাতীয় ঐক্য ও সংহতি—এই শব্দসমষ্টি ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংযুক্ত হয়েছে?

ক। 1952 সালে

খ। 1936 সালে 

গ। 1950 সালে 

ঘ। 1976 সালে

উত্তর:- ঘ







Twt
D1 Study Subscribe our Youtube Channel
Subscrib